Posts

Showing posts from December 10, 2017

আজ মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর

Image
আজ ১৬ ডিসেম্বর। আমাদের মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৪৬ বছর পূর্ণ হলো আজ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে স্মরণ করবে সেসব শহীদকে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অ আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। স্মরণ করবে সেসব বীর সেনানীকে যারা শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যেসব নর-নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মান জানানো হবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলার শোষিত বঞ্চিত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে বুটের তলায় স

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কে জানি।

জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কে কতটুকু জানি? বলুন তো দেখি, বাংলাদেশে জাতীয় সঙ্গীত সর্বপ্রথম কোন শিল্পীর কণ্ঠে রেকর্ড করা হয়? ১। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি সর্বপ্রথম রেকর্ড করা হয় শিল্পী গোপালচন্দ্র সেনের কণ্ঠে। ২। গানটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতবিতান’ গ্রন্থের স্বদেশ অংশে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৩। পরিচালক জহির রায়হান তাঁর নির্মিত ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রে এই গানটি ব্যবহার করেন। ৪। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হয়। ৫। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার অজিত রায় গানটির বর্তমান যন্ত্রসুর করেন। ৬। ১৯৭২ সালের ১৩ই জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার গানটির প্রথম দশ লাইন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার সিন্ধান্ত নেয়। তবে যন্ত্রসঙ্গীত এবং সামরিক বাহিনীতে শুধুমাত্র প্রথম চার লাইন ব্যবহার করা হয়। ৭। অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ইংরেজিতে অনুদিত করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সংখ্যা কত ছিল?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সমগ্র বাংলাদেশকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। তবে কোন কোন এলাকায় এই সেক্টরগুলো ছিল, তা কি জানেন? সেক্টর ১: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী নদী পর্যন্ত। সেক্টর ২: ঢাকা, ফরিদপুরের কিছু অংশ, নোয়াখালী ও কুমিল্লা নিয়ে গঠিত হয়েছিল। সেক্টর ৩: সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ। সেক্টর ৪: সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক পর্যন্ত। সেক্টর ৫: সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সিলেট জেলার সমগ্র উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল। সেক্টর ৬: সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা। সেক্টর ৭: দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল, বগুড়া, রাজশাহী এবং পাবনা জেলা। সেক্টর ৮: সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অধিকাংশ এলাকা এবং দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়কের উত্তরাংশ। সেক্টর ৯: খুলনার কিছু অংশ, বরিশাল ও পটুয়াখালী নিয়ে গঠিত হয়েছিল। সেক্টর ১০: এ সেক্টরের অধীনে ছিল নৌ-কমান্ডো, সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও আভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন