এবার টার্গেট হলেন সেব্রিনা ফ্লোরা

করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে, একটা টিম ওয়ার্ক তৈরি হবে, অথচ তারা সেটা না করে একের পর এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। একে অন্যকে দোষারোপ করে, কে কাকে বেকায়দায় ফেলতে পারে, সেই প্রতিযোগিতা চলছে। করোনা মোকাবেলা যেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখ্য কাজ না। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার টার্গেট হলেন আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

করোনার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব আইইডিসিআর পালন করতো। সেই আইইডিসিআরকে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কিছুদিন ধরেই আইইডিসিআর এর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের প্রকাশ হিসেবেই আইইডিসিআর’কে নমুনা সংগ্রহ এবং নমুনা পরীক্ষার তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এর ফলে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত, নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা নিয়ে চরম বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে।


জানা যায় যে, এতদিন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হতো। নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষাসহ যাবতীয় কাজ করতো আইইডিসিআর। এখন আইইডিসিআর এই কাজটিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

কিন্তু আইইডিসিআর এর সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই আইইডিসিআর’কে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন এই কাজটি নিজেদের উদ্যোগে করবে। এটা নিয়ে একটা নতুন সংকট তৈরি হয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সমালোচিত হয়। এই ধারাবাহিকতায় যারা যারা নিম্নমানের মাস্ক এবং পিপিই নিয়ে কথা বলেছিলেন সেই দুইজন পরিচালককে সরিয়ে দিয়ে আরেক দফা সমালোচনার মুখে পড়ে। সর্বশেষ এবার টার্গেট হলেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এবং আইইডিসিআর।

এই আইইডিসিআর করোনা সংশ্লিষ্ট কাজকর্মে প্রথম পাদপ্রদীপে আসে। করোনা নিয়ে তারাই নিয়মিতভাবে গবেষণা এবং সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। এতে আইইডিসিআর এর পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা সরকারি নীতি নির্ধারকদের নজরে এসেছিলেন। আর এ কারণেই তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তার চক্ষুশূল হন বলেই জানা গেছে।

চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময়, তখন তারা সেটা না করে পরস্পরকে বেকায়দায় ফেলা এবং দোষারোপের এক নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। যার ফলে বাংলাদেশের করোনা মোকাবেলা ভবিষ্যতে এক ভয়ঙ্কর সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে।

Comments

Popular posts from this blog

Messi in harness as Argentina promise fireworks

সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর তড়িৎ বিশ্লেষণ

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন