লাখো কণ্ঠে ‘আমার সোনার বাংলা’

বেয়াল্লিশ বছর আগে যে মুহূর্তে যে স্থানটিতে বাঙালির মুক্তির সনদ লেখা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সেই ক্ষণে সেই স্বাধীনতার উদ্যানেই লাখো কণ্ঠ গাইল ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটিই একাত্তরের রণাঙ্গনে বাঙালি জাতিকে প্রেরণা যুগিয়েছিল, যা পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসাবে গ্রহণ করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপিত ‘বিজয় ২০১৩’র মঞ্চে সোমবার বিকাল ৪টা ৩১মিনিটে এই গানে কণ্ঠ মেলান উপস্থিত জনতা।
এবার সম্মিলিতভাবে এই উত্সব পালন করছে বিজয় ২০১৩ উদযাপন জাতীয় কমিটি, গণজাগরণ মঞ্চ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বাস্তবায়ন কমিটি এবং বিজয় ৪:৩১ মঞ্চ।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের আগে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা পরিবেশন করেন একাত্তরে মুক্তিকামী মানুষকে শক্তি যোগানো বিভিন্ন গান। পরে তারাও সমবেত কণ্ঠের জাতীয় সংগীতে অংশ নেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে পাকিস্তানি বাহিনী এই উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেছিল, তখন এর নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান।মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়ক অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার বীর উত্তম বলেন, “সেই ক্ষণে জাতীয়ভাবে আমাদের প্রাণের জাতীয় সংগীতকে কোটি কণ্ঠে পরিবেশনাই আজকের অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য।”

Comments

Popular posts from this blog

সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশই তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক অ্যাভিগান

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন