মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লং আইল্যান্ডের দু'জন চিকিৎসক কয়েক দশকের পুরনো দুটি ওষুধের মিলিত ডোজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ওপর প্রয়োগ করেছেন। ভালো ফলাফলও পেয়েছেন তারা। অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিনের সাথে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন মিশিয়ে একটি নতুন ডোজ তৈরি করেন তারা। পরে ওই ডোজ করোনা রোগীদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের লং কোয়ান্টাইরা হেলথের চিকিৎসক ডা. রায়ান সাদি এবং প্লেইনভিউ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ আলম করোনা রোগীদের জন্য এই নতুন ডোজ তৈরি করেন। তারা সাফল্যও পান।
কয়েক ডজন গুরুতর রোগীর ওপর এই ডোজ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই পুরোপুরি সুস্থ। ডা. রায়ান সাদি বলেন, আমি আপনার সঙ্গে সৎভবে বলছি। এটি ব্যবহার করলে এমন হবে; আমি ঠিক এমনটা প্রত্যাশা করছিলাম না।
ওষুধের মিলিত ডোজটি করোনার চিকিৎসায় অসাধারণ হলেও, সবাই ভালো ফল নিয়ে থেরাপিটি শেষ করতে পারেননি। করোনায় গুরুতর ৫৪ জন রোগীর ওপর এই ডোজ দেওয়া হয়। ছয়দিন ধরে নিতে হয় ডোজ। কিন্তু ৯ জন এই ডোজ নিয়ে ছয়দিন শেষ করতে পরেননি। কারণ এই ডোজের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাদের মধ্যে। আর ৯ জনের মধ্যে তিন জন গুরুতর রোগী মারা যান। তবে বাকি ৪৫ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন।


ডা. রায়ান সাদি বলেন, করোনায় গুরুতর অসুস্থ ৪৫ জন রোগী পুরোপুরি সুস্থ। একটি বিশাল সংখ্যার রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। আমাদের এই চিকিৎসায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ বর্তমানে জরুরি অবস্থা চলছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।
করোনায় এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি এখনো অনুমোদন দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধের ডোজ এড়িয়ে চলতে।
এবিসি নিউজের চিফ মেডিক্যাল করেসপন্ডেন্ট ডা. জেন অ্যাশটন বলেছেন, এই চিকিৎসা পদ্ধতিটির আরো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হওয়া দরকার।

Comments

Popular posts from this blog

সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশই তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক অ্যাভিগান

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন