দেশের ৩৫টি স্থানে কম মূল্যে ৪৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ।

মূল্যবৃদ্ধি এবং উৎপাদন সঙ্কট দেখিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। তবে দেশের বাজারে পিয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে রাজধানীর ৩৫টি স্থানে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি)। মঙ্গলবার সকালে শুরু হয় এসব পণ্য বিক্রি; দেখা গেছে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন।
ট্রাকে করে পিয়াজ, মশুর ডাল, চিনি, সয়াবিন তেল বিক্রি করছে টিসিবি। তবে পিয়াজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে। ট্রাকে প্রতিকেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি চিনি ৫০ টাকা ও মশুর ডাল ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে (২ ও ৫ লিটার) প্রতি লিটার ৮৫ টাকায়।


ঢাকার যেসব স্থানে টিসিবির পণ্য পাওয়া যাবে সেসব স্থান হলো- সচিবালয়ের গেইট, প্রেস ক্লাব, কাপ্তান বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক, সায়েন্সল্যাব মোড়, নিউ মার্কেট/নীলক্ষেত মোড়, শ্যামলী/কল্যাণপুর, ঝিগাতলা মোড়, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, কলমীলতা মোড়, রজনীগন্ধা সুপার মার্কেট, কচুক্ষেত, আগারগাঁও তালতলা ও নির্বাচন কমিশন অফিস, রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স, উত্তরা, মিরপুর-১ নম্বর মাজার রোড, শান্তিনগর বাজার, মালিবাগ বাজার, বাসাবো বাজার, আইডিয়াল স্কুল, বনশ্রী, বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর, মহাখালী কাঁচাবাজার, শেওড়াপাড়া বাজার, দৈনিক বাংলা মোড়, শাহজাহানপুর বাজার, ফকিরাপুল বাজার ও আইডিয়াল জোন, মতিঝিল বক চত্বর, খিলগাঁও তালতলা বাজার, রামপুরা বাজার, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, আশকোনা হাজি ক্যাম্প, মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার, দিলকুশা, মাদারটেক নন্দীপাড়া কৃষি ব্যাংকের সামনে ও পলাশী মোড়ে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য স্থল ও নৌ বন্দরগুলোয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ফোনে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানি পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেঁয়াজ পরিবহন নির্বিঘ্ন করাব জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশের ভোমড়া, সোনা মসজিদ, হিলি এবং বেনাপোল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্ন করতে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের ১০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আজ (১ অক্টোবর) থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, যশোর, দিনাজপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার বাজারগুলোয় তদারকি শুরু করেছেন।
‘এ ছাড়া প্রতিটি জেলা প্রশাসন থেকেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এলসির মাধ্যমে মিয়ানমার মিশর ও তুরস্ক থেকে আমদানি পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর দিয়ে আমদানি পেঁয়াজ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি হাটগুলোয় বিক্রির জন্য পেঁয়াজ দ্রুত সারাদেশে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।

Comments

Popular posts from this blog

Messi in harness as Argentina promise fireworks

সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর তড়িৎ বিশ্লেষণ

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন