ইলিশের কেজি ৫০ টাকা থেকে শুরু
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! মাত্র ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। মৌসুম প্রায় শেষ তবুও মৌসুমের শেষদিকে এসে বঙ্গোপসাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আর তাই চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডতে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ টাকা কেজি দরে।
গতকাল বুধবার (২ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছোট আকৃতির ইলিশ প্রতিকেজি ৫০ টাকা এবং ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বড় ১ কেজি সাইজের ইলিশ।
তবে ইলিশের দাম কমাতে বেড়ে গেছে বরফের দাম। স্থানীয় মৎস্য আড়তদাররা ও বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাইকাররা ভবিষ্যতে সরবরাহ করার জন্য প্রচুর ইলিশ মজুদ করতে বরফের দাম এক লাফে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ফলে ইলিশের চেয়ে এখন বরফের দাম অনেক বেশি পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সীতাকুণ্ডের কুমিরা, দক্ষিণ সলিমপুর, মধ্য সলিমপুর, ভাটিয়ারী মির্জানগরসহ বিভিন্ন স্থানে জেলে ও পাইকারদের দম ফেলার সময় নেই। কেউ সাগর থেকে ভারে করে ইলিশ নিয়ে আসছেন। কেউ-বা বরফ ভাঙছেন ইলিশে দেওয়ার জন্য। অনেক শ্রমিক স্তূপ করা ইলিশ থেকে আকার অনুসারে পৃথক করছেন। কেউ-বা ইলিশ কাটছেন। অনেকে কাটা ইলিশে লবণ দিচ্ছেন। খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতারা ঘাট এলাকায় ভিড় করছেন পছন্দের মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য। ঘাটে ৩০টিরও বেশি ফিকআপ ভ্যান, কাভার্ডভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যেখানে সংরক্ষিত ইলিশ ভর্তি করা হচ্ছে। এসব ইলিশ নেওয়া হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
জেলেদের ঘাটগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ইলিশ (কেজিতে ৪/৫টি) ৫০ টাকায়, মাঝারি (কেজিতে ২/৩টি) একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকায় ও বড় আকারের ইলিশ (কেজিতে ১টি) বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায়।
কুমিরা ঘাটে কথা হয় স্থানীয় মেম্বার আলাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে শুনে তিনি ঘাটে মাছ কিনতে এসেছেন। প্রতিটি এক কেজি ওজনের ইলিশ একটি-দুটি করে পছন্দ করে মোট নয় কেজি কিনেছেন দুই হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে। তিনি বলেন, ধারণার থেকে কম দাম দিয়ে মাছ কিনে তিনি খুশি।
ফৌজদারহাট থেকে আসা মোহাম্মদ আলী কন্ট্রাক্টর বলেন, প্রতিবছর এদিনে তিনি সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ঘাটে এসে মাছ কেনেন। এবার বড় মাছের দাম অন্যবারের তুলনায় কম। গত বছর এক কেজি ও তার বেশি ওজনের ইলিশ কিনেছেন গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। এবার তা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় কিনেছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি দাম পড়ছে।
জেলে, পাইকার ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অমাবস্যা ও পূর্ণিমার পাঁচ দিন আগে থেকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার পরের পাঁচ দিন ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। মূলত এই ১০ দিন ইলিশ ধরা পড়ে। প্রতিটি ছোট নৌকায় এক থেকে চার মণ, ফিশিং বোটে দুই থেকে ছয় মণ পর্যন্ত ইলিশ ধরা পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রতি ছোট নৌকায় ৪ থেকে ৭ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। ৪০০ গ্রামের ছোট ইলিশ প্রতি মণ দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা, ৪০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা, ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং দেড় কেজির ওপরের ইলিশ প্রতি মণ ২০ হাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভাটিয়ারী মাছের আড়ত মালিক মনোয়ারুল ইসলাম মুন্না বলেন, দুই ধরনের জাল দিয়ে ইলিশ ধরেন জেলেরা। তবে পকেট জালের মাছের দাম বেশি। এবার মাছের পরিমাণ বেশি হলেও বড় ইলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণে ধরা পড়ছে না। ফলে বড় ইলিশের দাম কিছুটা বেশি।
ভাটিয়ারী মির্জানগর এলাকার জেলে সর্দার বাদল জলদাস বলেন, ইলিশ বেশি ধরা পড়লেও ছোট আকারের ইলিশ বেশি। ছোট ইলিশের চাহিদা কম।
সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, গত মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড উপকূল থেকে ৫০ মেট্রিক টনের মতো ইলিশ ধরা পড়েছিল। বুধবার ধরা পড়েছে ৭০ টনের মতো।
তিনি বলেন, মাছ বেশি ধরা পড়লেও জেলেরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। মধ্যস্বত্বভোগীরাই আসল লাভ নিয়ে যাচ্ছে। তার ওপর জেলেরা মাছ সংরক্ষণ করছে দেখে আইস ফ্যাক্টরিগুলো বরফের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক কেজি ওজনের বরফ বিক্রি করছেন ১৭০০ টাকা। ইলিশের চেয়ে বরফের দামই বেশি! ফলে জেলেরা কিংবা পাইকারী ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আইস ফ্যাক্টরিগুলো আরেকটু মানবিক হলে জেলেদের হয়রানি কমে যেত বলে জানান শামীম।
গতকাল বুধবার (২ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছোট আকৃতির ইলিশ প্রতিকেজি ৫০ টাকা এবং ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বড় ১ কেজি সাইজের ইলিশ।
তবে ইলিশের দাম কমাতে বেড়ে গেছে বরফের দাম। স্থানীয় মৎস্য আড়তদাররা ও বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাইকাররা ভবিষ্যতে সরবরাহ করার জন্য প্রচুর ইলিশ মজুদ করতে বরফের দাম এক লাফে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ফলে ইলিশের চেয়ে এখন বরফের দাম অনেক বেশি পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সীতাকুণ্ডের কুমিরা, দক্ষিণ সলিমপুর, মধ্য সলিমপুর, ভাটিয়ারী মির্জানগরসহ বিভিন্ন স্থানে জেলে ও পাইকারদের দম ফেলার সময় নেই। কেউ সাগর থেকে ভারে করে ইলিশ নিয়ে আসছেন। কেউ-বা বরফ ভাঙছেন ইলিশে দেওয়ার জন্য। অনেক শ্রমিক স্তূপ করা ইলিশ থেকে আকার অনুসারে পৃথক করছেন। কেউ-বা ইলিশ কাটছেন। অনেকে কাটা ইলিশে লবণ দিচ্ছেন। খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতারা ঘাট এলাকায় ভিড় করছেন পছন্দের মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য। ঘাটে ৩০টিরও বেশি ফিকআপ ভ্যান, কাভার্ডভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যেখানে সংরক্ষিত ইলিশ ভর্তি করা হচ্ছে। এসব ইলিশ নেওয়া হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
জেলেদের ঘাটগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ইলিশ (কেজিতে ৪/৫টি) ৫০ টাকায়, মাঝারি (কেজিতে ২/৩টি) একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকায় ও বড় আকারের ইলিশ (কেজিতে ১টি) বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায়।
কুমিরা ঘাটে কথা হয় স্থানীয় মেম্বার আলাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে শুনে তিনি ঘাটে মাছ কিনতে এসেছেন। প্রতিটি এক কেজি ওজনের ইলিশ একটি-দুটি করে পছন্দ করে মোট নয় কেজি কিনেছেন দুই হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে। তিনি বলেন, ধারণার থেকে কম দাম দিয়ে মাছ কিনে তিনি খুশি।
ফৌজদারহাট থেকে আসা মোহাম্মদ আলী কন্ট্রাক্টর বলেন, প্রতিবছর এদিনে তিনি সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ঘাটে এসে মাছ কেনেন। এবার বড় মাছের দাম অন্যবারের তুলনায় কম। গত বছর এক কেজি ও তার বেশি ওজনের ইলিশ কিনেছেন গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। এবার তা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় কিনেছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি দাম পড়ছে।
জেলে, পাইকার ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অমাবস্যা ও পূর্ণিমার পাঁচ দিন আগে থেকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার পরের পাঁচ দিন ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। মূলত এই ১০ দিন ইলিশ ধরা পড়ে। প্রতিটি ছোট নৌকায় এক থেকে চার মণ, ফিশিং বোটে দুই থেকে ছয় মণ পর্যন্ত ইলিশ ধরা পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রতি ছোট নৌকায় ৪ থেকে ৭ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। ৪০০ গ্রামের ছোট ইলিশ প্রতি মণ দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা, ৪০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা, ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং দেড় কেজির ওপরের ইলিশ প্রতি মণ ২০ হাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভাটিয়ারী মাছের আড়ত মালিক মনোয়ারুল ইসলাম মুন্না বলেন, দুই ধরনের জাল দিয়ে ইলিশ ধরেন জেলেরা। তবে পকেট জালের মাছের দাম বেশি। এবার মাছের পরিমাণ বেশি হলেও বড় ইলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণে ধরা পড়ছে না। ফলে বড় ইলিশের দাম কিছুটা বেশি।
ভাটিয়ারী মির্জানগর এলাকার জেলে সর্দার বাদল জলদাস বলেন, ইলিশ বেশি ধরা পড়লেও ছোট আকারের ইলিশ বেশি। ছোট ইলিশের চাহিদা কম।
সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, গত মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড উপকূল থেকে ৫০ মেট্রিক টনের মতো ইলিশ ধরা পড়েছিল। বুধবার ধরা পড়েছে ৭০ টনের মতো।
তিনি বলেন, মাছ বেশি ধরা পড়লেও জেলেরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। মধ্যস্বত্বভোগীরাই আসল লাভ নিয়ে যাচ্ছে। তার ওপর জেলেরা মাছ সংরক্ষণ করছে দেখে আইস ফ্যাক্টরিগুলো বরফের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক কেজি ওজনের বরফ বিক্রি করছেন ১৭০০ টাকা। ইলিশের চেয়ে বরফের দামই বেশি! ফলে জেলেরা কিংবা পাইকারী ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আইস ফ্যাক্টরিগুলো আরেকটু মানবিক হলে জেলেদের হয়রানি কমে যেত বলে জানান শামীম।
Comments
Post a Comment