মোসাদ্দেকের মা তবু থেমে যায় নি

এই যে মাত্র ২১ বছর বয়সী এক তরুণকে সারা দেশের মানুষ একনামে চিনে ফেলল, এর পেছনে বড় অবদান কার? প্রশ্নের উত্তরে মোসাদ্দেক সব সময় বলে এসেছেন মায়ের কথা। সেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতেই এক সন্ধ্যায় হাজির হই ময়মনসিংহের এই অলরাউন্ডারের বাড়িতে। ক্রিকেট মাঠে মোসাদ্দেককে লড়াই করতে আমরা দেখেছি। মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বুঝলাম, বড় লড়াকু তো তিনিই!

মোসাদ্দেকের বাবা আবুল কাশেম ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থায় চাকরি করতেন। তাঁর খুব শখ ছিল, ছেলেদের বড় ক্রিকেটার বানাবেন। খুব আগ্রহের সঙ্গে তিন ছেলেকে মাঠে নিয়ে যেতেন। ব্যাট, প্যাড, জুতা কিনে দিতেন। সব ভন্ডুল হয়ে গেল ২০০৮ সালে। বাবাকে হারালেন নবম শ্রেণি পড়ুয়া মোসাদ্দেক। ছোট দুই যমজ ভাই মোসাব্বের হোসেন আর মোসাদ্দের হোসেন তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। পরিবারের দায়িত্বের কথা ভেবে মোসাদ্দেক ধরেই নিয়েছিলেন, ক্রিকেটটা বোধ হয় আর খেলা হবে না। পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে হারিয়ে তখনো হাল ছাড়েননি মোসাদ্দেকের মা হোসনে আরা বেগম। ঠিক করেছিলেন, স্বামীর স্বপ্ন তিনি অপূর্ণ রাখবেন না।

Comments

Popular posts from this blog

সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশই তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক অ্যাভিগান

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন