ইউনিটপ্রতি ৬৬ পয়সা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব
গ্রাহক পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬৬ পয়সা (১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ) বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। তবে এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বলেছে, ওজোপাডিকোর ইউনিটপ্রতি ঘাটতি ১১ পয়সা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর টিসিবি মিলনায়তনে বিদ্যুতের দাম পুনর্মূল্যায়নবিষয়ক গণশুনানিতে এই প্রস্তাব দেন ওজোপাডিকোর কর্মকর্তারা। গণশুনানি সঞ্চালনা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির চারজন সদস্য। ওজোপাডিকোর পক্ষে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শফিক উদ্দিন ও আরও পাঁচ কর্মকর্তা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
ওজোপাডিকোর আওতায় রয়েছে বৃহত্তর খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের ২১ জেলা। শুনানির শুরুতে ওজোপাডিকোর প্রস্তাব তুলে ধরেন সংস্থাটির ডিজিএম (বাণিজ্যিক) রবীন্দ্রনাথ দত্ত। লিখিত প্রস্তাবে তিনি বলেন, ২০১৬–১৭ অর্থবছরে নিট সরবরাহ ব্যয় ইউনিটপ্রতি ৬ দশমিক ৭৮ টাকা। বিদ্যমান খুচরা ট্যারিফ ইউনিটপ্রতি ৬ দশমিক ৪০ টাকা। ফলে ইউনিটপ্রতি ঘাটতি ৩৮ পয়সা। বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রির কারণে গত অর্থবছরে ওজোপাডিকোর ৭১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
বর্তমান বিদ্যুতের পাইকারি দরের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করেছে ওজোপাডিকো। পিডিবি ইতিমধ্যে পাইকারি বিদ্যুতের দাম (বাল্ক মূল্য) বৃদ্ধির আবেদন করেছে। বাল্ক মূল্যবৃদ্ধি করা হলে তার সঙ্গে সমন্বয় করে ওজোপাডিকোর খুচরা মূল্যহার বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির লিখিত মতামত তুলে ধরেন বিইআরসির উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। এতে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ওজোপাডিকোর ইউনিটপ্রতি নিট রাজস্ব চাহিদা ৬ দশমিক ৫৭ টাকা। গড় খুচরা ট্যারিফ ইউনিটপ্রতি ৪ দশমিক ৪৬ টাকা। ইউনিটপ্রতি ঘাটতি ১১ পয়সা। বিদ্যমান বাল্ক ট্যারিফ পরিবর্তন হলে খুচরা ট্যারিফে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রচলিত মিটারের পরিবর্তে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছ থেকে জামানতের টাকা নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। ওজোপাডিকোকে জামানতের টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে হবে।
ওজোপাডিকোর নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি দেখেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চেয়ে গত অর্থবছরে কর্মচারীদের ওভারটাইম বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। কমিটি মনে করে, শুধু ট্যারিফ বৃদ্ধি করে ওজোপাডিকোর খুব একটা সাশ্রয় হবে না।
ওজোপাডিকোর প্রস্তাবের ওপর প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষ থেকে জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। এম শামসুল আলম বলেন, ‘গত অর্থবছরে ওজোপাডিকোর গ্রাহক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। কিন্তু ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলো কেন?’
ওজোপাডিকোর কর্মচারী ইউনিয়ন এমডির নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, শামসুল আলমের এমন প্রশ্নে এমডি মো. শফিক উদ্দিন বলেন, ‘জনসমক্ষে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আগে নিয়ন্ত্রণে ছিল না। বিবদমান দুটি পক্ষ ছিল। বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ায় গত দুই বছরে প্রায় ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে।’
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এমডির উদ্দেশে বলেন, ‘শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিমাঞ্চলে। দুই দলকে মিলিয়ে দেওয়ায় কর্মচারী ইউনিয়ন আরও শক্তিশালী হয়েছে। আপনি পরিস্থিতি বুঝতেই পারেননি।’
বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে গণশুনানি শুরু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর টিসিবি মিলনায়তনে বিদ্যুতের দাম পুনর্মূল্যায়নবিষয়ক গণশুনানিতে এই প্রস্তাব দেন ওজোপাডিকোর কর্মকর্তারা। গণশুনানি সঞ্চালনা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির চারজন সদস্য। ওজোপাডিকোর পক্ষে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শফিক উদ্দিন ও আরও পাঁচ কর্মকর্তা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
ওজোপাডিকোর আওতায় রয়েছে বৃহত্তর খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের ২১ জেলা। শুনানির শুরুতে ওজোপাডিকোর প্রস্তাব তুলে ধরেন সংস্থাটির ডিজিএম (বাণিজ্যিক) রবীন্দ্রনাথ দত্ত। লিখিত প্রস্তাবে তিনি বলেন, ২০১৬–১৭ অর্থবছরে নিট সরবরাহ ব্যয় ইউনিটপ্রতি ৬ দশমিক ৭৮ টাকা। বিদ্যমান খুচরা ট্যারিফ ইউনিটপ্রতি ৬ দশমিক ৪০ টাকা। ফলে ইউনিটপ্রতি ঘাটতি ৩৮ পয়সা। বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রির কারণে গত অর্থবছরে ওজোপাডিকোর ৭১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
বর্তমান বিদ্যুতের পাইকারি দরের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করেছে ওজোপাডিকো। পিডিবি ইতিমধ্যে পাইকারি বিদ্যুতের দাম (বাল্ক মূল্য) বৃদ্ধির আবেদন করেছে। বাল্ক মূল্যবৃদ্ধি করা হলে তার সঙ্গে সমন্বয় করে ওজোপাডিকোর খুচরা মূল্যহার বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির লিখিত মতামত তুলে ধরেন বিইআরসির উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। এতে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ওজোপাডিকোর ইউনিটপ্রতি নিট রাজস্ব চাহিদা ৬ দশমিক ৫৭ টাকা। গড় খুচরা ট্যারিফ ইউনিটপ্রতি ৪ দশমিক ৪৬ টাকা। ইউনিটপ্রতি ঘাটতি ১১ পয়সা। বিদ্যমান বাল্ক ট্যারিফ পরিবর্তন হলে খুচরা ট্যারিফে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রচলিত মিটারের পরিবর্তে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছ থেকে জামানতের টাকা নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। ওজোপাডিকোকে জামানতের টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে হবে।
ওজোপাডিকোর নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি দেখেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চেয়ে গত অর্থবছরে কর্মচারীদের ওভারটাইম বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। কমিটি মনে করে, শুধু ট্যারিফ বৃদ্ধি করে ওজোপাডিকোর খুব একটা সাশ্রয় হবে না।
ওজোপাডিকোর প্রস্তাবের ওপর প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষ থেকে জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। এম শামসুল আলম বলেন, ‘গত অর্থবছরে ওজোপাডিকোর গ্রাহক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। কিন্তু ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলো কেন?’
ওজোপাডিকোর কর্মচারী ইউনিয়ন এমডির নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, শামসুল আলমের এমন প্রশ্নে এমডি মো. শফিক উদ্দিন বলেন, ‘জনসমক্ষে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আগে নিয়ন্ত্রণে ছিল না। বিবদমান দুটি পক্ষ ছিল। বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ায় গত দুই বছরে প্রায় ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে।’
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এমডির উদ্দেশে বলেন, ‘শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিমাঞ্চলে। দুই দলকে মিলিয়ে দেওয়ায় কর্মচারী ইউনিয়ন আরও শক্তিশালী হয়েছে। আপনি পরিস্থিতি বুঝতেই পারেননি।’
বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে গণশুনানি শুরু হয়েছে।
Comments
Post a Comment