নোবেল জয় করেই ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তাহলে কি নোবেল জয় করেই ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? গতকাল থেকেই এই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওয়াশিংটনে গলব্লাডার অপারেশনের প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা ছিল ৫ অক্টোবর। গতকাল তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে ৫ অক্টোবর নয়, ৭ অক্টোবর দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার বিলম্বের কারণ যে শারীরিক অসুস্থতা নয় তা স্পস্ট। কারণ, ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার তার অপারেশন হয়। পরদিনই তিনি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাড়িতে ফিরে আসেন। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকেই তিনি দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন। ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী সাতটি ই- ফাইল ছেড়েছেন বা নিষ্পত্তি করেছেন। শুক্রবার সকালে ওয়াশিংটন থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সুস্থ আছেন। তিনি সার্বক্ষণিক ঢাকায় তার অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন’। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, পাশাপাশি যারা তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি’। কাজেই সুস্থতার কারণে যে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরা বিলম্বিত হয়, এটা নিশ্চিত।
আগামী ৬ অক্টোবর নরওয়ের সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশের সময় বিকাল ৩টা) ওসলো থেকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার ঘোষণা করা হবে। নোবেলের রীতি অনুযায়ী সম্ভাব্য বিজয়ীদের সাথে পুরষ্কার ঘোষণার আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর বা তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত টেলিফোন নাম্বার নেয়া হয়। ঐতিহ্য অনুযায়ী, শান্তিতে নোবেল জয়ী আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরপরই তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে এই ধরনের যোগাযোগগুলো জানান দেয় যে, তিনি নোবেলের সম্ভাবনাময় দাবীদার। এরকম কোনো বার্তা কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়েছে? সম্ভবত।
আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সাত অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব মানবতার নেত্রী। তিনি ডটার অব হিউম্যানিটি। এবার জাতিসংঘে তিনি বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। তার কারণে গোটা দেশ আজ গর্বিত। এ জন্য সাধারণ মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে তাকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানাতেই পারে। ছয় অক্টোবর শেখ হাসিনা নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান আর না পান, তিনি যে বিশ্ব মানবতার নেতা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
Comments
Post a Comment