প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে আ.লীগ

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি এবং তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, এর জন্য তাঁকে গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও দেশবাসীর পক্ষ থেকে ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার দিন তাঁকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সাধারণ নাগরিক ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা মিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে দলের নেতা-কর্মীরা এবং দলের বাইরের সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবে। এ সময় রাস্তায় কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে না। তিনি বলেন, ‘তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) পাঁচ দফা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সারা দুনিয়ায় সমাদৃত হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব বলে বিবেচিত হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার সময়ও তাঁকে গণসংবর্ধনা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সে সময় দলের নেতা-কর্মীদের কারণে ঢাকার রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর আবারও প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিষেধ করায় সেবার গণসংবর্ধনা থেকে সরে আসে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাব সারা বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করেছে, তার প্রমাণ হচ্ছে, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির একজন মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। বৈশ্বিক চাপের মুখে মিয়ানমারের নেতাদের অবস্থানগত পরিবর্তন, তা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও তাঁর পাঁচ দফা প্রস্তাব এবং সারা বিশ্বের  চাপের মুখে তারা অবস্থান বদলেছেন।

গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটি চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করেন, সরকারের চাপের কারণে প্রধান বিচারপতি অবকাশযাপন করে এসে আবার ছুটি চাইতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এখানে বারবার কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। যে মানুষ অসুস্থ, ছুটি নেওয়া তো স্বাভাবিক ব্যাপার। সংবিধানে কারও অসুস্থতার বিষয়ে ৯৭ ধারায় বিধান বলে দেওয়া হয়েছে। কাজেই সেভাবেই হবে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান লন্ডনে বসে শেখ হাসিনার সরকার হটানোর চক্রান্ত করছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লন্ডনে বসে বেগম জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমান কী ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন, যা জাতি আজ জানতে চায়। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যে তদন্তে প্রয়োজনে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, এমআই ফাইভ, এমআই সিক্স—ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমরা অনুরোধ করতে পারি সাহায্য করার জন্য।’ এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি এখন যে অবস্থায় চলে গেছে, তাতে করে কবে যে তাদের ‘লাইফ সাপোর্ট’ দিয়ে রাখতে হয়, সেটাই এখন ভাবার বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Popular posts from this blog

সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশই তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক অ্যাভিগান

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন