একটি গুুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

ব্লু-হোয়েল বা নীল তিমি বা সিনি কমপ্লিকিয়েট একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জিং গেইম (যদিও গেইম নয়!) যা ৫০ টি টাস্কের মাধ্যমে তরুন-তরুণীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। এই ৫০ টি টাস্কের শেষটি হচ্ছে আত্মহত্যা।## গেইমটি কীভাবে কাজ করে? ব্লু হোয়েল গেইমের এডমিনদের বলা হয় কিউরেটর আর সাব এডমিনদের/রি এডিটরদের বলা হয় সাব কিউরেটর। আর যারা গেইম খেলেন অর্থাৎ যারা ভিক্টিম তারা এখানে একেকজন একেকটি হোয়েল অর্থাৎ তিমি। গেইমের শুরু হয় যেকোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কে চ্যাটিং এর মাধ্যমে এবং আপনাকে প্রতিদিন একটি করে টাস্ক দেয়া হবে (মোট ৫০ টি টাস্ক)। টাস্ক শেষ করার পরে আপনাকে তার প্রমাণ দেয়া লাগবে। টাস্ক গুলো হচ্ছেঃ একঃ "F58" লিখুন ব্লেড দ্বারা, আপনার হাত কাটুন তারপর তার ছবি কিউরেটর কে পাঠান। দুইঃ সকাল ৪.২০ এ ঘুম থেকে উঠুন সাইকেডেলিক এবং ভয়ংকর ভিডিও দেখুন এবং তা কিউরেটরকে পাঠান। তিনঃ রেজর ব্লেড দ্বারা আপনার হাতের রগ কাটুন কিন্তু পাঁচটি দাগের বেশী না। তার ছবি কিউরেটরকে পাঠান। চারঃ একটি তিমি মাছের ছবি আকুন আপনার হাতে। তারপর তার ছবি কিউরেটরকে পাঠান। পাঁচঃ আপনি যদি তিমি হতে চান এখনই তাহলে আপনার পায়ে "yes" লিখুন আর তিমি হতে না চাইলে আপনার পায়ে গভীর ক্ষত তৈরী করুন আর আপনাকে শাস্তি দিন। তার ছবি কিউরেটরকে পাঠান। ছয়ঃ গরম স্নান নিন। যেনো পানির তাপমাত্রা ২৮০ ডিগ্রি থেকে ৩৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। সাতঃ "F40" লিখুন ব্লেড দ্বারা আপনার হাতে আর তার ছবি পাঠান কিউরেটরকে। আটঃ আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ট্যাটাস দিন "I_am_whale" নয়ঃ আপনাকে আপনার ভয়কে জয় করতে হবে। তাই যা করলে আপনার ভয় লাগে তাই করুন। দশঃ সকাল ৪ টা ২০ এ আপনার বাসার ছাদে যান, যতটুকু উচুতে উঠা সম্ভব উঠুন। এগারঃ অন্য হাতে তিমির ছবি আকুন আর তার ছবি কিউরেটরকে পাঠান। বারঃ সারাদিন সাইকেডেলিক ভিডিও দেখুন। তেরঃ কিউরেটরা আপনাকে যেসব গান পাঠাবে তা শুনুন। চৌদ্দঃ আপনার ঠোট কাটুন, আপসাইড ডাউন করে। পনেরঃ একটি সুই দ্বারা আপনার হাতে ৭০-৮০ বার ছিদ্র করুন। তার ছবি কিউরেটরকে পাঠান। ষোলঃ আপনার শরীর কে অসুস্থ করুন। সতেরঃ আপনার এলাকার সব থেকে উচু বিল্ডিং এর ছাদে যান সেখানে কিছু সময় কাটান। আঠেরঃ যেকোনো বিজের প্রান্তে যান আর সেখানে কিছু সময় কাটান। উনিশঃ যেকোনো ক্রেনের উপরে উঠার চেষ্ঠা করুন। বিশঃ আপনার মতো অন্য আরেকজন তিমির সাথে কথা বলুন। একুশঃ কিউরেটর এখন চেক করবে যে আপনি বিশ্বাস যোগ্য কি না! বাইশঃ যেকোনো ছাদের প্রান্তে গিয়ে পা বাইরে দিয়ে বসুন। তেইশঃ আবার গরম জলে স্নান করুন, তাপমাত্রা ৩৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। চব্বিশঃ প্রতি ঘন্টায় ৪-৫ টি করে ঘুমের ওষুধ খেতে থাকুন। পচিশঃ যেকোনো একজন তিমির সাথে দেখা করুন। ছাব্বিশঃ কিউরেটর আপনাকে আপনার মৃত্যুর তারিখ দেবে শীঘ্রই তার অপেক্ষায় থাকুন। সাতাশঃ সকাল ৪ টা ২০ এ যেকোনো রেলপথে হাটাহাটি করুন। আটাশঃ কারো সাথে সারাদিন কোনো কথা বলবেন না। উনত্রিশঃ সারাদিন জপতে থাকুন যে আপনি একজন তিমি এবং কারো সাথে কথা বলবেন না। ত্রিশ থেকে উনপঞ্চাশঃ প্রতিদিন সকাল ৪ টা ২০ এ উঠুন, ভূতের মুভি দেখুন, কিউরেটরদের পাঠানো গান শুনুন এবং প্রতিদিন তিনটি করে দাগ কাটুন আপনার শরীরে এবং তার ছবি কিউরেটরদের পাঠাতে থাকুন। পঞ্চাশঃ যেকোনো উপায়েই হোক মারা যান

Comments

Popular posts from this blog

Messi in harness as Argentina promise fireworks

সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর তড়িৎ বিশ্লেষণ

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন