আক্রমণের শিকার হলেই যুদ্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক শক্তিতে তৃতীয় ক্ষমতাধর দেশ চীন। তৃতীয় স্থানে থাকলেও চীন সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের পরে সবচেয়ে বেশি খরচ করে। সামরিক খাতে দেশটির বার্ষিক ব্যয় ২১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মানবশক্তির বিচারে চীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক শক্তির দেশ। এ দেশটির হাতেও পারমানবিক অস্ত্র রয়েছে।

বেইজিংয়ের সামরিক লক্ষ্য- বিশ্বশক্তি হিসেবে চীনের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় চূড়ান্তভাবে আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা। আর এই শ্রেষ্টত্ব অর্জনের লক্ষ্যে দেশটি সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েই চলছে। দেশটির মোট সেনা সদস্য ৩৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ জন। ট্যাংকের সংখ্যা নয় হাজার ১৫০টি। রয়েছে চার হাজার ৭৪৪টি সাঁজোয়াযান। বিভিন্ন ধরনের কামানের সংখ্যা সাত হাজার ৯৫৬টি। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার যান এক হাজার ৭৭০টি। চীনের বিমানবাহিনীতে মোট বিমানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৫৫টি। নৌবাহিনীতে রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরী, ৫১টি ফ্রিগেট, ৩৫টি ডেস্ট্রয়ার ও ৬৮টি সাবমেরিনসহ ৭১৪টি তরী।

তবে বেইজিংয়ের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর যেসব নতুন অস্ত্র রয়েছে, তার অধিকাংশর নকশা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের কাছ থেকে চীনা হ্যাকারদের চুরি করে নেয়া। ফলে এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে কাজ করবে সে ব্যপারে তারা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। এখন বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা নীতি হচ্ছে আক্রমণের শিকার হলেই কেবল তারা যুদ্ধে যাবে।

চীনের বর্তমান সামরিক অগ্রগতিতে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে অতীত ইতিহাস। ১৯৩০ ও ১৯৪০ এর দশকে জাপানের নির্মম আগ্রাসনের পর তার সামরিক কৌশলে পরিবর্তন এসেছে। ১৯৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বেইজিংয়ের ভয় ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন স্থল আক্রমণ করতে পারে। ১৯৮৫ সালের পর সেই ভয় কাটলে পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তের পরিবর্তে দক্ষিণাঞ্চলীয় সমুদ্র নিরাপত্তায় নজর দেয় চীন।  এখন বেইজিং স্বমহিমায় শক্তিমান।

Comments

Popular posts from this blog

Messi in harness as Argentina promise fireworks

সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর তড়িৎ বিশ্লেষণ

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন