কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী থেকে আরও সাত রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার


কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী থেকে আরও সাত রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয় বলে টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন খান জানান।

তিনি বলেন, সাতজনের মধ্যে তিনজন নারী, বাকিরা শিশু। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশকে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

“মৃত তিন নারীর পরনে রয়েছে বার্মিজ থামি ও ব্লাউজ। বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় কোনো নৌকাডুবির ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয় বলে আমরা ধারণা করছি।”

এর আগে মঙ্গলবার রাতে নাফ নদীর একই পয়েন্টে আরও দুই রোহিঙ্গা শিশুর লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে গত ২৫ অগাস্টের পর থেকে কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে ১০২ জন রোহিঙ্গার লাশ পাওয়া গেল।

মিয়ানমারের রাখাইনে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সেনা ক্যাম্পে গত ২৪ অগাস্ট রাতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। তখন থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত চলছে।

রাখাইনে পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো থেকে পায়ে হেঁটে যারা বাংলাদেশ সীমান্তে আসতে পারছেন, তারা মংডু থেকে মাছ ধরার নৌকায় করে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এই পখে নৌকাডুবির ফলে প্রতিদিনই নাফ নদী দিয়ে ভেসে আসছে রোহিঙ্গাদের লাশ। কারও কারও গায়ে গুলির চিহ্নও পাওয়া যাচ্ছে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

Comments

Popular posts from this blog

সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশই তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক অ্যাভিগান

অধ্যায় - ৫ রাসায়নিক বন্ধন